অশ্রু কেন- জানতে চাইলে শের আলী নামে এই কনস্টেবল অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, “মেয়েটি আমাকে আব্বা বলার পর চোখে নিজের কন্যা শিশুর প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছিল। তখন আমি আর কান্না ধরে রাখতে পারিনি।”
শিশুটিকে উদ্ধার করে ছুটছেন পুলিশ কনস্টেবল শের আলী, চোখে তার অশ্রুধারা
রোববার দুপুরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকায় বাস উল্টে নিহত হন চারজন, আহত হন অন্তত ২৩ জন।
চট্টগ্রামে কর্মরত শের আলী তিন দিনের ছুটি নিয়ে রোববার দুপুরের খানিক আগে রামুর রশিদ নগরে নিজের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। দুই সন্তানকে নিয়ে দুপুরে খাবার খাওয়ার সময় দুর্ঘটনার খবর শোনেন তিনি।
শের আলী বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বাড়ি খুব কাছে হওয়ায় তিনি কয়েকজন প্রতিবেশীকে নিয়ে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন।
একে একে ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান শের আলী। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বাসের ভেতরে ব্যাগ রাখার জায়গায় এক শিশুকে আটকে থাকতে দেখেন তিনি।
“ব্যাগ রাখার স্থানে শিশুটির মাথা থেকে চোখ পর্যন্ত আটকে ছিল। সেটি ফাঁক করে মেয়েটিকে উদ্ধার করার পর সে আমাকে ‘আব্বা’ বলে পানি খেতে চায়।”
শের আলীর নিজের মেয়েটিও একই বয়সী। তখন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই পুলিশ সদস্য।
শের আলী পরে জানতে পারেন, শিশুটির নাম উম্মে হাবিবা।
শিশুটির চোখে ও মাথায় আঘাত লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।